লিচুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা।
আমাদের সকলের কাছে অতি পরিচিত ফল লিচু। লিচুর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অনেক।
এটি গ্রীষ্মকালীন মিষ্টি, সুস্বাদু ও রসালো একটি ফল বাংলাদেশে এটি গ্রীষ্মকালীন ফল এবং ফেব্রুয়ারিতে এর মুকুল আসে ও ফল সাধারনত মে মাসের দিকে পাকে। বাংলাদেশের সব স্থানেই লিচু হয়, তবে উত্তরবঙ্গের রাজশাহী ও দিনাজপুর অঞ্চলে এর ভাল চাষ হয়। শুধু খেতেই এটি রসালো নয়, মৌসুমি এই ফল ভিটামিন ও খাদ্যশক্তির অন্যতম উৎস।বাংলাদেশ ছাড়াও মায়ানমার,ভারত, ভিয়েতনাম,ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইন,মালয়েশিয়া,ব্রাজিল সহ বিশ্বের কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তিয় বহু দেশে লিচু চাষ করা হয়।লিচুতে রয়েছে মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। লিচুর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান থাকা দরকার।
লিচুর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণঃ
লিচুতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স । যা মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। মেটাবলিজম শক্তি কম হলেই মানুষের দেহে চর্বি বেড়ে যায়। লিচু এই মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা পালন করে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ওজন হ্রাসে সাহায্য করে।
লিচুতে আছে ভিটামিন সি যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য ভালো। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৩১ মি.গ্রা ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন ‘সি’ সাথে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে লিচু বেশ কিছু রোগ প্রতিরোধ করে। যেমনঃ সর্দির সমস্যা, ফ্লু, কাশি। এছাড়াও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ।
লিচুর উপকারিতাঃ
পেতে লিচু কার্যকরী একটি ফল। তাই বলা যায় লিচুর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ প্রচুর। নানারকম চর্মরোগ ও স্কার্ভি দূর করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। এছাড়া এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে ও বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ১০ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম আছে। ক্যালসিয়াম আমদের দেহের হাড় গঠন করে ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া শক্তির ভালো উৎস লিচু। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচু থেকে আমরা ৬১ কিলোক্যালরি শক্তি পায়। এটি দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে। লিচুতে খাদ্য হজমকারী আঁশ,
ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা আমাদের শরীরে জমে থাকে ও দেহ সুস্থ রাখে। লিচু মানবদেহে ক্যান্সার হওয়ার প্রবনতা কমায়। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করে। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভানয়েডস নামক উপাদান স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। লিচুতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম,
পটাসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।


No comments: