থানকুনি পাতা চাষাবাদ ও ওষুধি গুনাগুন নিয়ে আলোচনা।
থানকুনি পাতার চাষাবাদঃ
ক। থানকুনি চাষে কিভাবে টব/মাটি তৈরি করবেন ।
খ। থানকুনি চাষে কি ধরণের টব/পাত্রের আকৃতি বাছাই করবেন ।
গ। থানকুনি পাতা চাষ/রোপনের সঠিক সময়
ঘ। কিভাবে থানকুনি পাতা বীজ বপন ও সঠিক নিয়মে পানি সেচ দিবেন
ঙ। সঠিক নিয়মে থানকুনি পাতা চাষাবাদ পদ্ধতি/কৌশল
চ। কিভাবে থানকুনি পাতা গাছের যত্ন ও পরিচর্যা করবেন
ছ। কি পরিমাণ থানকুনির পাতা বা ফল পাওয়া যাবে
জ। থানকুনির অন্যান্য ব্যবহার
ঝ। থানকুনি পাতার খাদ্য গুণাগুণ
ঞ। থানকুনির ঔষধি গুনাগুন
ট। কখন থানকুনির পাতা বা ফল সংগ্রহ করবেন
থানকুনি চাষে কিভাবে টব/মাটি তৈরি করবেন
প্রায় সবধরনের মাটিতেই থানকুনি পাতার চাষ করা যায়। তবে থানকুনি পাতা চাষের জন্য দোআঁশ অথবা বেলে দোআঁশ মাটি সর্বোত্তম। তাই এই মাটি বাছাই করে টব তৈরি করা উচিত।
থানকুনি চাষে কি ধরণের টব/পাত্রের আকৃতি বাছাই করবেনঃ
থানকুনি পাতা চাষের জন্য আপনি ছোট অথাবা মাঝারি সাইজের যেকোন ধরণের পাত্র অথবা টব নির্বাচন করতে পারেন। এছাড়াও মাঝারি সাইজের বোতল কিংবা কোন পুরান পাত্র ব্যবহার করতে পারেন।
থানকুনি পাতা চাষ/রোপনের সঠিক সময়ঃ
বছরের যেকোন সময়েই আপনি থানকুনির চাষ করতে পারেন। এই গাছ সারা বছরই আপনার বাড়ির চিলেকোঠা বা ছাদে অথবা ঘরের বারান্দায় অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে চাষ করতে পারেন।
কিভাবে থানকুনি পাতা বীজ বপন ও সঠিক নিয়মে পানি সেচ দিবেন
থানকুনি পাতা সাধারণত দুই ভাবে বংশ বিস্তার করে। একটি হল বীজের মাধ্যমে ও অপরটি হল অঙ্গজ জনন। থানকুনি গাছের প্রতিটি গিট বা node (নোড) থেকে শিকড় বের হয়। এই শিকড়-সহ লতা এনে আপনি টবে অথবা উপযুক্ত পাত্রে স্থাপন করলেই দেখবেন গাছ তৈরি হবে। থানকুনি পাতা জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। তাই পানি দেওয়ার সময় সঠিক নিয়মে পরিমাণ মত পানি দিতে হবে। থানকুনি পাতা আর্দ্র মাটি পছন্দ করে।
সঠিক নিয়মে থানকুনি পাতা চাষাবাদ পদ্ধতি/কৌশল
থানকুনি গাছে সঠিক নিয়মে সূর্যের আলো লাগতে দিতে হবে। থানকুনি গাছের টব নিয়মিত বাতাসের সংস্পর্শে রাখতে হবে। নিয়মিত জৈব সার দিতে হবে। গাছ বেশি বড় হয়ে গেলে কিছু গাছ ছেঁটে নিয়ে অন্য পাত্রে লাগাতে হবে। বেশী লতা হলে কিছুটা ছাটাই করতে হবে।
কিভাবে থানকুনি পাতা গাছের যত্ন ও পরিচর্যা করবেন
থানকুনি পাতা চাষের ক্ষেত্রে সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে। গাছের গোড়ায় যেন কোন প্রকার আগাছা না জন্মে। আগাছা জন্মালে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে। শুকনা ও মরা পাতা ছাটাই করে দিতে হবে।
কি পরিমাণ থানকুনির পাতা বা ফল পাওয়া যাবে
আপনি বেশ কয়েকটি থানকুনির গাছ থেকে অনেক থানকুনি পাতা পেতে পারেন। যা দ্বারা আপনার পারিবারিক চাহিদা মিটিয়েও আপনি এই পাতা আঁটি করে বিক্রি করতে পারেন।
থানকুনির অন্যান্য ব্যবহারঃ
আমাদের দেশের মানুষ থানকুনির পাতাকে অনেক ভাবে খায়। অনেকে এটাকে ভাজি কিংবা ভর্তা করে খায়। আবার অনেকে এটাকে চিবিয়ে রস করে খায়।
থানকুনি পাতার খাদ্য গুণাগুণঃ
থানকুনি পাতার মধ্যে রয়েছে অনেক খাদ্য গুনাগুন। এই থানকুনি পাতা অনেক ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ। থানকুনির রসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী খনিজ ও ভিটামিন জাতীয় পদার্থ।
থানকুনির ঔষধি গুনাগুনঃ
থানকুনি পাতার অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। আমাদের দেশে থানকুনি পাতা কুষ্ঠ এবং চামড়া রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় । শিশুদের রক্তের মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্রের কার্ডিওভাসকুলার গ্যাসত্রইনটেসটিনাল গ্রন্থিময় ইমিউন সিস্টেম কাশি সমস্যা, লিভার শ্বাস প্রশ্বাস ও কলা ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও জ্বর, পেটের পীড়া, গ্যাস্ট্রিক, হজম শক্তি বৃদ্ধি, রক্ত দূষণ, বাক স্ফুরনে, খুশ খুশ কাশি, আমাশয়, পেট ব্যথা, মুখে ঘা, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, পাচক, কিডনি যন্ত্রণার ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ।
কখন থানকুনির পাতা বা ফল সংগ্রহ করবেনঃ
থানকুনি পাতা আপনি বছরের যেকোন সময় ফল সংগ্রহ করবেন।
No comments: