ডুমুরের ভেষজ উপকারিতা জেনে নিন: রোগ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক উপহার || Agro Pro
ডুমুরের ভেষজ উপকারিতা:
কাকডুমুরের উপকারিতা:
ভস্মকাগ্নি (খাই-খাই রোগ): ফলের রস ২ চা-চামচ দিনে ১-২ বার।
কৃশতা/অপুষ্টি: শুকনো ডুমুর দুধে সিদ্ধ করে খাওয়া।
শোথ (শরীরে ফোলা): গরম রসে দিনে ১-২ বার পান করলে উপকার।
রক্তপিত্ত: পাকা ডুমুরের জল দিনে ২-৩ বার পান।
পেটের দোষ/শ্বেতী রোগ: গাছের ছাল সিদ্ধ করে পান করলে উপকার।
চামড়ার দাগ: ডুমুর বা ছাল সিদ্ধ জলে ধোয়া।
দূষিত ক্ষত: ছাল সিদ্ধ জল দিয়ে ধুলে ঘা শুকায়।
অতিরিক্ত ঋতুস্রাব: কচি ডুমুরের রস + মধু/চিনি।
রক্ত ওঠা: রসের সাথে মিছরি খেলে উপকার।
আমাশয়: পাতার কুঁড়ি আতপ চালে চিবিয়ে খাওয়া।
ডায়াবেটিস: শিকড়ের রস দীর্ঘদিন খেলে উপকারি।
হেঁচকি, স্কার্ভি, রক্তশূন্যতা: কাকডুমুরের রস নিয়মিত পান।
সতর্কতা: অতিরিক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঝিঙ্গার চাষ ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি আলোচনা।
যজ্ঞডুমুরের উপকারিতা:
কাটা রক্তপাত: ঘনসার লাগালে রক্ত বন্ধ হয়।
বিষাক্ত কামড়, কুকুরে আঁচড়: ঘনসার লাগালে বিষ নিঃসরণ রোধ।
ফোঁড়া বা ফোলা: জল মিশিয়ে লেই করে লাগানো।
মুখের ক্ষত ও গন্ধ: গারগল বা মুখে রেখে দিলে উপকার।
গ্রন্থিস্ফীতি (গাঁটে ফোলা): ক্ষীর লাগালে উপশম।
রক্তার্শ/রক্তস্রাব: ঘনসার খেলে আরাম মেলে।
পিত্তবিকার: শুকনো পাতার গুঁড়ো + মধু।
চিকেন পক্স: পাতার পেস্ট তৈরি করে লাগালে উপকার।
প্রদর ও স্রাব: রক্ত বা ঘনসার + মধু।
বহুমূত্র: যজ্ঞডুমুরের ভর্তা + দাদখানি চাল।
সতর্কতা: অতিরিক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। লেবু-জল খেলে উপশম হয়।
আরও পড়ুন: ডুমুরের ভেষজ উপকারিতা
ডুমুর, বিশেষ করে কাকডুমুর ও যজ্ঞডুমুর, একটি সুলভ অথচ কার্যকর ভেষজ উপাদান। সঠিক নিয়মে ও পরিমাপে প্রয়োগ করলে এটি অনেক জটিল রোগ সারাতে সহায়ক। তবে যেকোনো ভেষজ ব্যবহারের আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

No comments: